সাড়ে ৪ বছর বয়সী একটি ফুটফুটে পুত্র সন্তান রাকিব হোসেন। যে বয়সে শিশুটি মায়ের মুখে অ, আ, ই, ঈ শুনে বই পড়া মুখস্থ করার পাশাপাশি আদর সোহাগে বড় হওয়ার কথা, যে বয়স তাঁর খেলাধুলার ঠিক তখনই তাকে ঘিরে ধরেছে মরণব্যাধি চোখে টিউমার (গ্লুকোমা) রোগ। নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের বন্দর খড়িবাড়ি গ্রামের গরিব ভূমিহীন অসহায় দিন মজুর মফিজুল ইসলাম ও রুমি বেগমের একমাত্র পুত্র সন্তান রাকিব হোসেন সারে (৪) বছর।
মা রুমি বেগম একই উপজেলার সদর ইউনিয়নের জোড়জিগা নামক এলাকা থেকে গত ৬ বছর পূর্বে বিয়ে করেছিল পার্শ্ববর্তী খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের বন্দর খড়িবাড়ি গ্রামের মফিজুল ইসলামকে পেশায় একজন চার্জার ভ্যান চালক। বিবাহ বন্ধন হতে ভালোই চলছিল তাদের সুখের সংসার। ১ বছর পরে তাদের ঘর আলো করে আসে ফুটফুটে পুত্র সন্তান রাকিব হোসেন। জন্মের পর তিন বছর খুব ভালো এবং সুস্থ ছিলো শিশু রাকিব। কিন্তু তিন বছরের মাথায় শিশু রাকিবকে বাম চোখের মনির মাঝখানে গোল সাদা বৃত্ত দেখতে পায় মা-বাবা৷ পরে দিনদিন তার চোখের অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে ডিমলা সদর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসার করাতে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরামর্শ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। পিতা মফিজুল ইসলামের সহায় সম্বল হিসেবে ছিল একটি ভ্যানগাড়ি সেটি বিক্রয় করে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সন্তানকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকও রেফার্ড করেন ঢাকায়। শেষে ঢাকার শেরে বাংলা নগর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল ভর্তি করান শিশু রাকিবকে। জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বলেন, রাকিবের চক্ষুটি বাচাঁতে উন্নত চিকিৎসার জরুরী প্রয়োজন এবং তা ব্যয় বহুল। গরীব দিন মজুর পিতা মাতার পক্ষে তার চিকিৎসার খরচ বহন করা মোটেও সম্ভব নয়। শিশু রাকিবের চক্ষু বাচাঁতে চিকিৎসার জন্য তার পিতা মাতা দেশের বৃত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন। অর্থাভাবে গরিব অসহায় পিতা মাতার পক্ষে চিকিৎসা করাতে না পারায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ফুটফুটে শিশু রাকিবের একটি চোখ। বর্তমানে রাকিব অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে না পারায় বাড়িতেই রয়েছেন। এবং দিনদিন রাকিবের চক্ষুর অবস্থার অবনতি হচ্ছে। তার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। যা পরিবারের পক্ষে বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই শিশুটির পরিবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ দেশের বিত্তবান ব্যক্তিদের নিকট ছেলের চিকিৎসার জন্য সাহায্য প্রার্থনা করছে।
দেশ ও বিদেশের যদি কোন হৃদয়বান ব্যক্তি সহযোগিতার হাত বাড়াতে চান তবে এই বিকাশ পার্সোনাল নম্বরঃ বাবা (মফিজুল ইসলাম)-০১৭০৭৪৬৭৯৩০। এ সাহায্য পাঠাতে পারেন।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- jagobulletinbd@gmail.com