পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় ঝুলন্ত অবস্থায় বিউটি রানী (২০) নামে এক নব- গৃহবধূকে স্বামীর পরকীয়ার বাধা দেয়ায় তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করছেন বিউটির বাবা। ঘরের ভিতরে বাশেঁর স্বরের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় বিউটির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৭ মে) রাতে উপজেলার ধামোর ইউনিয়নের জুগিকাটা গ্রামে তার নিজ ঘরের বাশের স্বরের সাথে থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, নব- গৃহবধূ বিউটি রানী একই গ্রামের বিদ্যামহনের ছেলে উজ্জল রায়ের স্ত্রী। সে একই উপজেলার আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের মোলানি গ্রামের জতিস চন্দ্র রায়ের মেয়ে। এ ঘটনায় মৃত বিউটি রানীর বাবার বাড়ির লোকেরা অভিযোগ করছেন তাকে হত্যা করে লাশ ঘরের বাশের স্বরের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকে মৃতের স্বামী মানসিক ভাবে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে পুলিশ পাহাড়ায় আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতে ঝুলন্ত অবস্থায় গৃহবধূর মরদেহ দেখে চিৎকার শুরু করে পরিবারের সদস্যরা। তাদের চিৎকার শুনে ছুটে আসে স্থানীয়রা। পরে স্থানীয়রা আটোয়ারী থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।
এদিকে বিউটির বাবা জতিস চন্দ্র রায় ও পরিবারের লোকেরা অভিযোগ করেন, ১১ মাস আগে পারিবারিক ভাবে বিউটি রানীর সাথে বিয়ে হয় উজ্জলের।
এর মাঝে বিউটি রানী তার বাবার বাড়িতে জানায় উজ্জল চন্দ্র রায় বিয়ের পর একই এলাকায় নতুন করে এক প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। এ বিষয়ে স্বামীকে একাধিকবার বাধা দিলে তাদের মাঝে ঝগড়া বিবাদ শুরু হয় বলে জানায়।
এখন বিউটি রানীকে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্কের কারণে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের সদস্যদের।
আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহের প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলমান রয়েছে। মৃত্যুর কারণ সুনির্দিষ্ট ভাবে জানা যায়নি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।