পার্বত্য খাগড়াছড়ির গুইমারায় রাতের আধারে একদল পাহাড় খেকো দূর্বৃত্ত প্রতিনিয়ত পার্বত্য সবুজ শ্যামল পাহাড় গুলোর বুকে স্কেভেটর দিয়ে খুবলে ক্ষতবিক্ষত করে ধ্বংশস্তুপে পরিনত করছে এই পাহাড় গুলোকে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ২৯মে দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় এমনই তান্ডব দেখা যায় গুইমারা উপজেলার বড়পিলাক গ্রামের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন প্রধান সড়কের পাশে।
দূর্বৃত্তরা পাহাড় কাটছে এমন সংবাদের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার পাহাড় এবং বালি খেকো খ্যাত গুইমারা উপজেলার মৃদুল মাঝির পুত্র শুক্কুর মাঝি, বড়পিলাকের মকবুল, মৃত আইন উদ্দির পুত্র আবুল কালাম, মৃত জয়নাল হাজারীর পূত্র দোস্তগিরসহ আরও অজ্ঞেত কয়েক জনের নেতৃত্বে দেদারছে পাহাড় কাটার দৃশ্য।
গ্যাং প্রধান শুক্কুর মাঝির কাছে পাহাড় কাটার কোন প্রশাসনিক অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা যা করি ওসির অনুমতিতেই করি। এটা ওসির স্ত্রীর ক্রয়কৃত পাহাড়। আর কিছু জানার থাকলে ওসির কাছে জিজ্ঞেস করুণ। ওসির লিখিত কোন অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে তারা স্বদলবলে সাংবাদিকদের তেড়ে আসে ও সাংবাদিকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরন করে এবং সাংবাদিকদের কাজে বাঁধা প্রদানের চেষ্টা করে।
পাহাড় খেকোদের মৌখিক বক্তব্যের বিষয়ে গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃমিজানুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি এই বিষয়ে কিছুই জানিনা, এবং এই জায়গা আমার স্ত্রী কিনলেও এখনো রেজিষ্ট্রি হয়নি। সুতরাং এটা এখনো পর্যন্ত আমার জায়গা নয়। তবে অপরাধি যেই হোক তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাতের আঁধারে দূর্বৃত্তদের পাহাড় কাটার ব্যাপারে গুইমারা উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা তুশার আহম্মেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টা আমি অবগত নয় তবে এখন জানতে পারলাম, বিষয়টা আমি দেখছি।