তামাক চাষ, তামাকজাত পণ্য উৎপাদন ও ব্যবহার এবং তামাকের বর্জ্য পরিবেশের জন্য কতটা ক্ষতিকর- সে বিষয়ে জনসাধারণ এবং নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে ‘টোব্যাকো: থ্রেট টু আওয়ার এনভায়রনমেন্ট’ এবং বাংলাদেশে আলাদাভাবে প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে ‘তামাকমুক্ত পরিবেশ, সুস্বাস্থ্যের বাংলাদেশ’ এই দুটি প্রতিপাদ্য সামনে নিয়ে টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস উদযাপন উপলক্ষে সরকার কর্তৃক নিবন্ধিত শান্তিমুখর জনপদের উদ্যোগে তামাক,জর্দা,মাদক, হিরোইন,গাজা,ইয়াবা ও ধুমপান বিরোধী র্যালি ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার (৩১ মে) সকাল ৬.০০ টা হইতে নাগরপুর উপজেলা মোড়, জাতীয় প্রেস ক্লাব, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্পটে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ইলিয়াছ কুদরত ও সাধারন সম্পাদক রৌশনারা মাসুদার নেত্বতে মাদক ও তামাক বিরোধী র্যালি ও পথসভা হয়েছে।
তামাক ও মাদক বিরোধী পথসভায় বক্তব্য রাখেন-শান্তিমুখর জনপদ ভারড়া ইউপি সভাপতি আমজাদ ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, গয়হাটা ইউপি সভাপতি পান্না লাল মাহমুদ, বেকড়া ইউপি সভাপতি আবু বকর ছিদ্দিক, মোকনা ইউপি সভাপতি মোবারক হোসেন, সহবতপুর ইউপি সভাপতি দেলজু মনিরুজ্জামান, নাগরপুর ইউপি সাধারন সম্পাদক ডা.এম.এ.মান্নান।
বক্তরা বলেন- ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বিলুপ্তসহ সকল পাবলিক প্লেস, কর্মক্ষেত্র ও গণপরিবহনে ধূমপান নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। তামাকজাত পণ্য বিক্রয়স্থলে দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করতে হবে।
বক্তরা আরও বলেন- ধুমপান ও তামাক সেবনের কারনে কভিড ১৯-এর আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। ধূমপান বা তামাক সেবন ফুসফুস ও দেহের অঙ্গপ্রতঙ্গে নানান রোগে বাসা বাঁধে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, একটি গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে প্রতিবছর তামাকজনিত রোগে মারা যায় ৯৫ হাজার এর বেশী মানুষ। পঙ্গুত্ব বরণ করে আরও কয়েক লাখ। এসব ক্ষেত্রে রোগীদের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার জন্য খরচ তামাক খাত থেকে পাওয়া রাজস্বের অনেক বেশী।
উল্লেখ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিএইচও) সদস্য রাষ্ট্রসমূহ ১৯৮৭ সালে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস চালু করে। প্রতি বছর ৩১ মে তারিখে বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালন করে আসছে।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- jagobulletinbd@gmail.com