ঢাকাবুধবার , ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  1. অপরাধ
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আবহাওয়া
  4. কর্পোরেট বুলেটিন
  5. কৃষি সংবাদ
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জেলা সংবাদ
  11. ঢাকা বিভাগ
  12. ধর্ম ও জীবন
  13. নাগরিক সংবাদ
  14. পদ্মাসেতু
  15. পাঁচমিশালি
আজকের সর্বশেষ সব খবর

ছাগল নিয়ে বিরোধ, মামলায় আসামী মুয়াজ্জিন

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
জুন ৯, ২০২২ ৫:৪৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঠাকুরগাঁও পৌরশহরে দুই ছাগলের মারামারিকে কেন্দ্র করে পারিবারিক বিবাদের জেরে আদালতে মামলা করেছে একপক্ষ। এই মামলায় মুয়াজ্জিন জাহিদুল ইসলামকে আসামি করায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার (৯ জুন) জাহিদুল ইসলামকে অটোরিকশা চালাতে দেখা গেছে। হঠাৎ পেশা পরিবর্তনের কারণ জানতে চাইলে মামলার ভয়ে তিনি মসজিদের চাকরি ছেড়ে অটোরিকশা চালাচ্ছেন বলে জানান।

জাহিদুল পৌরশহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ড শাহপাড়া জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন। তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাড়ির দুই ছাগলের মারামারিকে কেন্দ্র করে জাহিদুলের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী তানিয়া ইসলাম ও মেজ ভাইয়ের স্ত্রী ফেন্সি বেগমের তর্ক-বিতর্ক হয়। এ ঘটনা পরবর্তীতে মামলায় গড়ায়।

মামলার কাগজে দেখা যায়, জাহিদুলের স্ত্রী পারুল বেগমসহ মোট ৫ জনের নামে মামলা করেছেন তানিয়া ইসলাম। অন্যরা হলেন জাহিদুলের মেজ ভাই জাকিরুল ইসলাম, ফেন্সী বেগম ও চাচাতো ভাই সাহেব।

জাহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সময় আমি মসজিদে ছিলাম। আমার বউ অসুস্থ হওয়ায় ঘরের ভিতরে ছিল। তবুও তারা আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। মসজিদে থাকলেও পুলিশ ধরে নিয়ে যাবে শুনেছি। তাই ভয়ে আর মসজিদে যাই না। কিন্তু সংসার তো চালাতে হবে। তাই ইজিবাইক চালাচ্ছি।

তার স্ত্রীও পলাতক আছেন বলে জানান জাহিদুল। তিনি এই হয়রানিমূলক মামলা থেকে রেহাই চান।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ওয়ার্ড কাউন্সিলর রমজান আলী বলেন, মিমাংসা করার জন্য স্থানীয়ভাবে বসেছিলাম আমরা। সমাধান না হওয়ায় থানায় বসে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করে দেওয়া হয়। পরে একই ঘটনায় কেন মামলা দায়ের করা হলো জানি না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার বাদী তানিয়া ইসলাম মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ দিকে শাহপাড়া মসজিদের সহ-সভাপতি মোখলেসুর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মুয়াজ্জিনকে এভাবে হয়রানিমূলক মামলায় জড়ানো সামাজিকতা পরিপন্থী। সেদিন সে মসজিদে সকাল থেকে দুপুর তিনটা পর্যন্ত খেদমতে ছিল। পারিবারিক প্রতিহিংসা থাকতে পারে। তবে এ জন্য একজন মুয়াজ্জিনকে ফাঁসানো ঠিক না।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কামাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মামলার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেবেন বলে জানান তিনি।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- news.jagobulletin@gmail.com