অবশেষে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমের মাথা উদ্ধার করা হয়েছে। সন্দেহভাজন হিসেবে ধৃত পারভেজের স্বীকারোক্তিতে রাত সোয়া ৮টার দিকে গোবরের নিচে লুকানো অবস্থায় জাহাঙ্গীর আলমের মস্তকটি উদ্ধার করে পুলিশ।
দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পেয়ার আহমেদ মাধা উদ্ধারের সত্যতা স্বীকার করে ধৃত পারভেজের স্বীকারোক্তিতে তার বাড়ির পাশে গোবরের নিচে লুকানো অবস্থায় জাহাঙ্গীর আলমের মাথাটি উদ্ধার করা হয়। তবে তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত জানাতে অপারকতা প্রকাশ করেন তিনি।
শুক্রবার (১০ জুন) সকালে হাজাছড়া যাওয়ার পথে ডেবার পাড়ে মাথা বিহীন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমের লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। এসময় তার সাথে আলু, ডাল, বিস্কুট ইত্যাদি বাজার সদাই হাতে ছিলো। ঘটনার পর থেকে আশপাশের পুকুরে জাল ফেলাসহ নানা প্রক্রিয়ায় খোঁজাখুঁজি করেও জাহাঙ্গীর আলমের মাথা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
পুলিশ এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে বেশ কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে পারভেজ নামে ধৃত ব্যক্তি হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে। পরে তাকে নিয়ে জাহাঙ্গীর আলমের মাথাটি উদ্ধার করা হয়।
জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী ছাড়াও সাদিয়া আক্তার (১১) ফাহিমা আক্তার (৬) ও মহিমা আক্তার (১) তিন কন্যা সন্তান রয়েছে।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- news.jagobulletin@gmail.com