ধর্মীয় ও আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে পুরোহিত ও সেবাইতদের দক্ষতা বৃদ্ধিকরন প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে ময়মনসিংহ জেলা কার্যালয়ের অধীনে ভাতাপ্রাপ্ত পরোহিত ও সেবাইতদের ১ম বার্ষিক সম্মেলন-২০২২ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের ধর্মীয় ও আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে পুরহিত ও সেবাইতদের দক্ষতা বৃদ্ধিকরন প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে ময়মনসিংহ টাউনহল তারেক স্মৃতি অডিটরিয়ামে শনিবার এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্মপ্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান এমপি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুজিববর্ষ দিচ্ছে ডাক, ধর্মীয় সম্প্রীতি অটটু থাক। অসত, দেশদ্রোহী ও মানবতা বিরোধীরা সাম্প্রদায়িকতা ছড়িয়ে জাতির স্বার্থ বিনষ্ট করার সুযোগ খুজতে থাকে। তাদেরকে এ সুযোগ দেয়া যাবে না। দাঙ্গা হাঙ্গামা হত্যার চেয়েও বড় অপরাধ। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রীতি বজায় রাখতে বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীদের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গীর্জাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। ধর্মীয় মুল্যবোধ ও নৈতিকতা বিকাশে মন্দির ভিত্তিক গণশিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় ৭ হাজার ৪০০ প্রতিষ্ঠানে চালু রয়েছে। ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। ২ হাজার মন্দির সংস্কার করা হচ্ছে। ঢাকেশ্বরীসহ ২০০টি মন্দির নির্মাণ চলছে। বৌদ্ধ, বিহার মন্দির নির্মাণ চলছে। বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের জন্য আইন করে ৪টি ট্রাস্টি গঠন করা হয়েছে। হজ্ব পালনের মত সরকারীভাবে তীর্থ ভ্রমণের সযোগ রাখা হয়েছে। একই ভবন থেকে সকল ধর্মের অফিস পরিচালনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, করোনা পরিস্থিতির মাঝেও বাংলাদেশের আর্থিক অবস্থা অনেক উন্নত দেশের চেয়ে ভাল আছে। করোনায় মৃত্যু এবং সনাক্তের হারও অনেক দেশের চেয়ে কম রয়েছে। এ জন্য আরো শতর্ক থাকতে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন।
বিভাগীয় কমিশনার মোঃ শফিকুর রেজা বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ফুলবাড়িয়া থেকে নির্বাচিত এমপি মোঃ মোসলেম উদ্দিন, গৌরীপুর থেকে নির্বাচিত এমপি নাজিম উদ্দিন আহমেদ, ভালুকা থেকে নির্বাচিত এমপি কাজিম উদ্দিন ধনু, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক, জেলা পরিষদের প্রশাসক অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার ফজলে রাব্বি, হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার রতন কুমার দত্ত বক্তব্য রাখেন। এর আগে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক প্রফেসর শিখা চক্রবর্তী বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় প্রতি জেলায় ২৫ জন করে ১৬ শত পুরোহিত ও সেবাইতগণকে ৭ শত টাকা করে ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া ১৮ জেলার মাধ্যমে দেশের ৬৪টি জেলার ৪১ হাজার ২১৬ জন পুরোহিত ও সেবাইতকে প্রশিক্ষণ দেয়ার লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মাঝে ১২ হাজারের অধিককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।