ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলায় মজুরির টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বে শ্রমিক এনামুল হককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে তারা মিয়াকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪।
১৮ জুলাই (সোমবার) রাতে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের টঙ্গী থানাধীন এলাকা হতে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত মোঃ তারা মিয়া ফুলবাড়ীয়া উপজেলার কমলাপুর গ্রামের মৃত আঃ হালিমের ছেলে।
র্যাবের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোম্পানী অধিনায়ক মেজর আখের মুহম্মদ জয়। তিনি জানান, ১৩ জুলাই মজুরির টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বে ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার কমলাপুর গ্রামে একজন হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ফুলবাড়ীয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে র্যাবের একটি চৌকস আভিযানিক দল গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে এনামুল হক হত্যা মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামী মোঃ তারা মিয়াকে ১৮ জুলাই (সোমবার) রাতে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের টঙ্গী থানাধীন এলাকা হতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার এজাহার পর্যালোচনা এবং র্যাব জানা যায়, এনামুল হকের ভাতিজির জামাই মামুন মিয়া ও একই এলাকার তারা মিয়ার লোকজনের সঙ্গে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করেন। সম্প্রতি চট্টগ্রামে ৫০ হাজার টাকায় একটি নির্মাণ কাজের বায়না করেন মামুন। বায়নার টাকা তারা মিয়ার লোকজন নিলেও তারা কাজে যায় না। ওই টাকা নিয়ে ১৩ জুলাই মধ্যরাতে মামুন মিয়া এবং তারা মিয়ার লোকজনের সঙ্গে বাগবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে তারা মিয়ার লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে এনামুল হককে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। পরে স্বজনরা রাতেই তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে এনামুলের অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় এনামুল হক এর মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে ভিকটিমের সহোদর ভাই মোঃ সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃত আসামী তারা মিয়াসহ মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে ফুলবাড়ীয় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যাহা ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানার মামলা নং-১৪, তারিখ-১৩ জুলাই ২২খ্রি, ধারা-১৪৩/৪৪৭/৩৪১/৩২৩/৩২৫/৩২৬/ ৩০৭/৩০২/৫০৬/১১৪ পেনাল কোড-১৮৬০। গ্রেফতারকৃত আসামীকে ফুলবাড়ীয়া থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- jagobulletinbd@gmail.com