স্যার যেমনে আমারে সব সহজে কইরা দিছে আল্লাহও স্যারের সব কাজ সহজ কইরা দিবো। অফিসো আইসা অত সুন্দর সেবা পায়াম কল্পনাও করি নাই। খারিজ ডিসিআর ফি সবকিছু সহজেই বিনা পয়সায় পায়াম জীবনেও ভাবজি না। সব আল্লাহর ইচ্ছা। স্যাররে আল্লাহ আরো বড় বানাক। ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুব রহমানের কাছ থেকে খতিয়ান নেয়ার সময় ছল ছল নয়নে এভাবেই কথগুলো বলছিলের একাত্তর বছর বয়সী বৃদ্ধা হালিমা খাতুন।
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে হতদরিদ্র হালিমা খাতুন তার আবেদন থেকে শুরু করে খারিজ ডিসিআর ফি সব নিজ খরচে করিয়ে খতিয়ান তার হাতে তুলে দিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুব রহমান।
জানা যায়, হালিমা খাতুন উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের বাসিন্দা। প্রতিবন্ধী এক ছেলেকে নিয়ে তার সংসার। অনেকদিন ধরেই জমি খারিজের জন্য ভূমি অফিসে ঘুরাঘুরি করছিলেন কিন্তু কোন ব্যবস্থা করে উঠতে পারছিলো না। হালিমাকে অফিসের সামনে বসে থাকতে দেখে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুব রহমান তার কক্ষে ডেকে এনে হালিমার অপারগতার কথা শুনে এবং তাত্ক্ষণাত তার সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
একসময় ভূমি অফিসগুলো মানুষের কাছে ‘ভোগান্তি কেন্দ্র’ হিসেবে পরিচিত ছিলো। সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুব রহমানের বিভিন্ন উদ্যোগে মানুষের এই নেতিবাচক ধারণার পরিবর্তন হচ্ছে। সাধারণ মানুষ ভূমি সংক্রান্ত সকল অভিযোগ নিয়ে আসছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুব রহমানের কাছে। নিজেদের অভাব অভিযোগের কথা সরাসরি কর্মকর্তার কাছে জানিয়ে সহজেই পাচ্ছেন প্রতিকার।
এবিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুব রহমানকে জানান,শুরু থেকেই আমার টার্গেট খুব সহজ ছিল; আমার এখানে কেউ এসে যেন বিমুখ হয়ে ফিরে না যায়। সেবার মান পরিবর্তনের জন্য আমাদের সাধ্যের মধ্যে যতটুকু সম্ভব তা করতে কোন রকম কার্পণ্য থাকবে না। আমার স্টাফদেরকেও প্রথম থেকেই এই নির্দেশনা দিয়েছি রেখেছি।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- jagobulletinbd@gmail.com