নগরীর আনন্দমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন পুরাতন ৪ টি বিল্ডিংয়ের কাজ ওয়াকশনে স্থানীয় ঠিকাদার এম এস কনস্ট্রাকশনের প্রোপাইটর মীর ওয়াহিদ ও হারুন অর রশীদ টিটো কাজ নেয়ার পর কলেজের ভেতরে পুরাতন দুটি পরিত্যক্ত বিল্ডিং ও একটি হিন্দু হোস্টেলের ছাত্রাবাস এবং একটি ডাইনিংয়ের বিল্ডিংয়ের কাজ শুরু করেন। রোববার রাতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্ব কলেজে আসলে কিছুক্ষণ পরে স্থানীয় একটা সন্ত্রাসী মহল ছাত্রলীগের নেতৃত্ববৃন্দের ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায় পরে দুই পক্ষে মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে আনন্দমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আমান উল্লাহ বলেন, কলেজের পরিত্যক্ত বিল্ডিং ওয়াকশনের কাজ পান এম এস কনস্ট্রাকশন। কাজ শুরু করার পর আমি জানতে পারি ঠিকাদার ও ছাত্রলীগের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে তবে এখন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এসব ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো: আল আমিন বলেন, ঠিকাদারের কাছে কোন চাঁদা দাবী করেনি। এলাকার লোকজন বিগত সময়ে কলেজের হোস্টেলের শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে রাখতো। বহিরাগত লোকজন সব সময় শিক্ষার্থীদের উত্যক্ত করে যেতো এসব ঘটনায় মূলত হোস্টেলের শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। কোন চাঁদাবাজির সাথে ছাত্রলীগ জড়িত নয়।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির জানান, কোন সরকারি কাজে বাঁধা দিতে পারে না ছাত্রলীগ। মূলত বিগত দিনে কলেজের হোস্টেলগুলোতে এলাকার একটি সিন্ডিকেট মাদক ব্যবসায় ব্যবহার করে আসছে এবং হোস্টেলের শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে অস্ত্রশস্ত্র প্রদর্শন করে মাদক ব্যবসা করার ফলে আমরা বাঁধা দিয়ে আসছি। আমরা ছাত্রলীগ কোন চাঁদাবাজি সাথে সম্পৃক্ত নয়।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- jagobulletinbd@gmail.com