ফরিদপুরের নগরকান্দায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (পদ স্থগিত) শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু গ্রুপের সঙ্গে জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক (পদ স্থগিত) শহিদুল ইসলাম বাবুল গ্রুপের গত ২১ আগস্ট বুধবারের সংঘর্ষে, উপজেলার ছাগলদী গ্রামের কবির ভূঁইয়া (৫৫) নিহত হন।
কবির ভূইয়াকে হত্যার অভিযোগে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকুসহ ৩৬ জনকে আসামী করে, নিহত কবির ভূইয়ার স্ত্রী মোনজিলা বেগম (৪৪) বাদী হয়ে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে নগরকান্দা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
নগরকান্দা থানার ওসি আমিনুর রহমান বলেন, নিহত কবির ভূইয়ার স্ত্রী মোনজিলা বেগম (৪৪) বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার (২৪ আগস্ট) এ বিষয়ে হত্যা মামলা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগ-সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকুকে প্রধান আসামী করা হয়েছে। এছাড়া নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি হাবিবুর রহমান বাবুল তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান মুকুল, সহসভাপতি আলমগীর হোসেন বকুল, কোদালিয়া শহীদনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান, যুবদল নেতা মাসুদুর রহমান তৈয়ব, হেলালউদ্দীন হেলাল, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান শরিফ সহ মোট ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো ৫০/৬০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামী করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (২১ আগস্ট) নগরকান্দা উপজেলা সদরের তেলের পাম্প, ছাগলদীর মোড়, কুমার নদের বেইলী ব্রীজ ও জুঙ্গুরদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিএনপির দুই গ্রুপের এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী তাদের ঢাল সরকি রামদা ছ্যানদা বল্লম চাইনিজকুড়াল ইটপাটকেলসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলতে থাকে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ। এ সংঘর্ষে কবির ভূইয়া (৫৫) নামের একব্যক্তি নিহত হয় এবং উভয় পক্ষের অন্তত ৫০জন আহত হয়। সংঘর্ষের সময় বেশ কয়েকটি বাড়ীঘর ও দোকানে লুটপাট ভাঙ্চুরের ঘটনা ঘটে।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- jagobulletinbd@gmail.com