ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছাত্রীদের আবাসিক তিনটি হলে প্রথমবারের মতো ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। এতে হাতের মুঠোয় স্যানিটারি ন্যাপকিন সেবা পেতে যাবে আবাসিক হলের নারী শিক্ষার্থী।
সোমবার (২২ মে) সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের খালেদা জিয়া হলের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত টিভি কক্ষে ভেন্ডিং মেশিন উদ্বোধন পূর্বক যৌথভাবে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘কান্ডারি ও ক্যাপ’।
এ সময় খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট ড. ইয়াসমিন আরা সাথীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এলজি ইলেকট্রনিক্স, বাংলাদেশ ব্রাঞ্চের হেড অব কর্পোরেট ব্র্যান্ডিং মাহমুদুল হাসান।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ড. শেলীনা নাসরিন, প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি ড. দেবাশীষ শার্মা, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট ড. মিয়া মো. রাশিদুজ্জামান, ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাম্মী আক্তারসহ প্রমুখ।
প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে প্রধান অতিথি মাহমুদুল হাসান বলেন, গ্রামের অনেক ইয়ুথ আছে যারা অনেক ভালো কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিন্তু ফান্ডিংয়ের অভাবে কাজ করতে পারে না। তাদের কথা চিন্তা করেই আমরা ২০১৭ সালে বাংলাদেশে এলজি অ্যাম্বাসেডর চ্যালেঞ্জ প্রোগ্রামটি শুরু করি। এই প্রোগ্রামটির মাধ্যমে এখানের তিনটি হলে ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। আশা করি এটি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে।
সভাপতির বক্তব্যে ইয়াসমিন আরা সাথী বলেন, মেনোপজ প্রকৃতির একটি স্বাভাবিক বিষয়। বাইরের দেশে যখন নারীদের মেনোপজ হয় তখন তারা আপসেট থাকে কিন্তু আমাদের দেশের নারীদের যখন হয় তখন তারা দারুণ খুশি। এই বোধের জায়গা থেকে আমাদের নিজেদের বেরিয়ে আসতে হবে। আশাকরি এলজির এই সহযোগিতা আমাদের মেয়েদের অনেক উপকারে আসবে।
উল্লেখ্য, ক্যানার অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম ফর উইমেন (ক্যাপ), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন । মেয়েদের হলে স্যানেটারি ন্যাপকিনের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে তারা এলজি কোম্পানির সার্বিক সহায়তায় সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ‘হাইজেনিক স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন’ স্থাপনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- news.jagobulletin@gmail.com