ফাইজা ইসলাম নাহিন জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকাতেই। বাবা এএসএম সোফরুল ইসলাম পেশায় একটি বেসরকারি এনজিওর কর্মকর্তা। মা জিনাত জাহান গৃহিণী। দুই বোনের মধ্যে ফাইজা বড়।
ফাইজা দেশের অন্যতম নৃত্যশিল্পী। তিনি বাংলাদেশ শিশু একাডেমী থেকে নৃত্য শেখার মাধ্যমে নৃত্যশিল্পী হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি থেকে নৃত্যশিল্পে ২০০৯ সালে প্রথম শ্রেনীতে প্রথম স্থান অধিকার করেন । বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত নিয়মিত একজন নৃত্যশিল্পী ও শিল্পকলা একাডেমীর একজন নৃত্যশিল্পী । গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক আয়োজিত বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে আয়োজিত নৃত্য পরিবেশনাতে তাকে হরহামেশাই দেখা যায়। তিনি দেশের বাহিরে ভারতের উত্তর প্রদেশের তীর্থঙ্কর মহাবীর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেন।
ফাইজা বলেন, ‘আমি নাচের উপর তালিম নিচ্ছি ছোটবেলা থেকেই। ২০০২ সাল থেকে। আমার প্রথম নাচের গুরু ছিলেন ভৈরব শিল্পকলা একাডেমীর নৃত্য প্রশিক্ষক ওস্তাদ নারায়েন দেব দুলাল। পরবর্তীতে আমি ২০০৫ সালে শিল্পকলা একাডেমীর মনিন্দ্রচন্দ্র দাস জ্বির থেকে নাচের উপর তালিম নেই।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার জীবনে নাচ শেখার পিছনে আমার বাবা-মার অনেক বেশি অবদান। কারন তাঁরা সবসময় আমাকে আমার নাচ শেখার জন্য একদম শুরু থেকেই অনুপ্রেরণা দিয়ে আসেছেন। যা কিনা আমাকে আমার সব বাঁধা প্রতিবন্ধকতা দূর করতে আমাকে আরো অনেক বেশী সাহসী করে তুলে। যা সেসব প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে সামনে যাবার অনুপ্রেরণা দেয়’।
ফাইজা শের-ই-বাংলা নগর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। এরপর তিনি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর করেন। পড়াশুনার পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি থেকে উচ্চাঙ্গ নৃত্যের উপর চার বছরের লেখাপড়া সম্পূর্ণ করেন। নৃত্যের পাশাপাশি তিনি ছায়ানটে রবীন্দ্রসঙ্গীত বিভাগে অধ্যয়নরত আছেন। রবীন্দ্রসঙ্গীত ও শাস্রীয় সঙ্গীত বিষয়ে তিনি নিয়মিত সঙ্গীত চর্চা করেন। বর্তমানে তিনি নৃত্যে ও সঙ্গীত সাধনার পাশাপাশি বে-সরকারি প্রতিষ্ঠান ই-ফ্রিল্যান্সিং ডট কমে কর্মরত আছেন।
ফাইজার ইচ্ছা তিনি তার দেশের সংস্কৃতিকে ধারণ করে দেশের বাইরে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরবেন।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- jagobulletinbd@gmail.com