ফরিদপুরের সালথায় ট্রলি ও বেকুর দৌরাত্বে ফসলি জমি কেটে পুকুর খননের হিড়িক পড়েছে । এতে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি। ট্রলির জন্য নষ্ট হচ্ছে কাঁচা ও পাকা সড়কগুলো। এসব যেন দেখার কেউ নেই।
জানা যায়, গত ৬ মাস ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভেকুদিয়ে ফসলি জমি কেটে মাটি বিক্রি ও পুকুর খননের কাজ অতিমাত্রায় বেড়ে গেছে। প্রশাসন মাঝে মাঝে দুই একটা ব্যবস্থা নিলেও কোন মতেই বন্ধ হচ্ছে না ফসলি জমি কাটা।
এলাকার বয়জৈষ্ঠরা জানান, মাটির ব্যবসায়ীরা জমির মালিকদের পটিয়ে ভুলভাল বুঝিয়ে মাটি ক্রয় করে চড়া দামে অন্যত্র বিক্রি করছে। ফলে খনন হচ্ছে পুকুর, একদিকে যেমন মাটি ও বালু মহল আইনকে তারা বৃদ্ধাগুলি দেখাচ্ছে। অন্যদিকে দিন দিন ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে এক সময় ফসল ফলানোর জায়গা থাকবে না। ভবিষ্যতে খাদ্য সংকট দেখা দিবে। জমির মালিকগন আপসোস করবে, কেন উর্বর এই জমি নষ্ট করেছি। ফসলী জমি রক্ষার্থে এসব যানবাহনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা না নিলে অচিরেই চরম ভোগান্তিতে পড়তে হবে সাধারন মানুষের।
মাঝে মধ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু কিছু ভেকুর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা জেল, জরিমানা করলেও, কিছুদিন পর আবার অন্য কোথাও গিয়ে শুরু করে সেই একই কাজ। ফসলি এই কৃষি জমি বাঁচাতে প্রশাসনের আরো কঠোর হতে হবে বলে অভিমত দিয়েছেন বিশিষ্ট জনেরা।
ফরিদপুরের সালথা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ তাছলিমা আকতার জানান , ফসলি জমি কেটে মাটি বিক্রির খবর পেলেই আমরা সেখানে ছুটে গিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করি। বিভিন্ন সময় আমরা এই বেকু ও ট্রলির কিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছি। আর এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- jagobulletinbd@gmail.com