ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈলে উপজেলায় শিয়ালের কামড়ে দু’দিনে অন্তত ৭ থেকে ১০ জন আহত হয়েছে। এই ঘটনায় উপজেলা তথা জেলাজুড়ে আতঙ্কে বিরাজ করছে।
শনিবার (৯ এপ্রিল) রাণীশংকৈল উপজেলার কুমোরগঞ্জ এলাকায় শিয়ালের আক্রমণের শিকার হন, মমিনুল ইসলাম, রেহেনা আক্তার এবং সাজেদা বেগম। একইভাবে আগেরদিন শুক্রবার শিয়ালের আক্রমণের শিকার হয়েছেন ওই এলাকার আনসার হক, মাজেদা বেগমসহ আরো অনেকে। ঘটনার পর থেকে গ্রামবাসী লাঠি হাতে নিয়ে চলাচল শুরু করেছে।
কুমোরগঞ্জ গ্রামের হাসিনা বেগম বলেন, ‘শনিবার সকালে ভুট্টাখেতের পাশে আমার প্রতিবেশী রেহেনা ঘাস তুলছিলেন। এ সময় হঠাৎ একটি শিয়াল এসে রেহেনার হাঁটুর নিচে কামড় দিয়ে পালিয়ে যায়। তাঁর চিৎকারে আমরা এগিয়ে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে রাণীশংকৈলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই।
সেখানে ভ্যাকসিন করার পরামর্শ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিন না থাকায় বাজার থেকে ১ হাজার ৫৫০ টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন কিনে রেহেনাকে দেওয়া হয়। তিনি এখন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। এলাকার আরও কয়েক জন আহত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।
নেকমরদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবুল হোসেন মাষ্টার জানান, গত দুইদিনে ইউনিয়নের কুমোরগঞ্জ এলাকায় কয়েকজনকে শিয়াল কামড়েছে। তাদের মধ্যে নারী-পুরুষ-বৃদ্ধ আছে। ‘আগে অবশ্য শিয়াল কখনও কামড়ায়নি। কিন্তু এখন শিয়ালগুলো পর্যাপ্ত খাবার পাচ্ছে না। তাই তারা মানুষের বাড়ি এসে পড়ে, মানুষকে কামড়ায়,বলেন তিনি।
এই বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা নাসিরুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শিয়াল সাধারণত ২ কারণে মানুষকে আক্রমণ করে। পর্যাপ্ত খাবার না পেলে বা আক্রমণের শিকার হলে এবং র্যাবিস ভাইরাসে আক্রান্ত হলে।’
তিনি আরো বলেন,পাগলা শিয়াল কাউকে কামড়ালে, তাকে জায়গাটা পরিষ্কার করতে হবে এবং ডাক্তারের কাছে গিয়ে জলাতঙ্ক টিকা নিতে হবে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিকা বিষয়ক কর্মকর্তা (এমটিইপিআই) নুরুজ্জামান বলেন,আমাদের উপজেলায় কুকুর ও শিয়াল কামড়ের ভ্যাকসিন সাপ্লাই নেই। তাই এসব রোগীদের আমরা ভ্যাকসিন দিতে পারি না। সরকারিভাবে ভ্যাকসিন নিতে হলে ওই রোগীদের ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে যেতে হবে।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- jagobulletinbd@gmail.com