
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল (বিপিসি)-র চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক বলেছেন, সমাজের সার্বিক উন্নয়ন সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে তারা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
আজ এখানে সাংবাদিকদের জন্য এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে বক্তৃতাকালে তিনি সুস্পষ্টভাবে বলেন, সাংবাদিকতার নামে সকল প্রকার শঠতা, জনগণের সাথে প্রতারণা ও মিথ্যাচারের আমরা কঠোর বিরোধী।
রাজশাহী জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বিপিসি’র আয়োজনে রাজশাহী সার্কিট হাউসের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আইন ও আচরণবিধি এবং তথ্য অধিকার’ শীর্ষক কর্মশালায় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বিপিসির কার্যক্রমসহ এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, সাংবাদিকতায় শৃঙ্খলাহীনতার কোনো স্থান নেই। সামগ্রিকভাবে দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে সফলভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বস্তুনিষ্ঠ ও প্রকৃত সাংবাদিকতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বক্তব্য রাখেন বিপিসি সচিব শাহ আলম, জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক ফরহাদ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সালেহ আশরাফুল আলম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাবিহা সুলতানা প্রমুখ।
বিচারপতি নিজামুল হক সাংবাদিকতা শুধুমাত্র সাংবাদিকদের জন্য উল্লেখ করে বলেন, অনলাইন সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে অনৈতিক কৌশলের বিরুদ্ধে একটি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা প্রয়োজন।
‘আন্ডারগ্রাউন্ড মিডিয়া প্রিন্ট ও অনলাইন উভয়ই আমাদের দুর্ভাগ্য, ‘বলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। তবে, তিনি বলেন, মহৎ পেশার মর্যাদা রক্ষা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, তারা বিপিসিকে সময় উপযোগী করতে কাজ করছেন যাতে এটি কর্মরত সাংবাদিকদের জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে পারে।
বিচারপতি নিজামুল হক (নাসিম) বলেন, জাতীয় অখন্ডতা কৌশল (এনআইএস), তথ্যের অধিকার (আরটিআই), সিটিজেন চার্টার, অভিযোগ নিষ্পত্তি ব্যবস্থা (জিআরএস) এবং বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) এই পাঁচটি সুশাসনের উপাদান রয়েছে।
তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের এই বিষয়গুলো নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের আহ্বান জানান, যাতে করে জনগণ সঠিকভাবে এসব বিষয়ের সুফল পেতে পারে।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- news.jagobulletin@gmail.com
