সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে প্রথমবারে মতো কুমিল্লার নগরপিতা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত। বুধবার (১৫ জুন) রাত সাড়ে নয়টার দিকে বেসরকারিভাবে তাকে মেয়র হিসেবে নির্বাচিত করা হয় ।
ঘোষিত ১০৫টি কেন্দ্রের মধ্যে সবকটি কেন্দ্রের ফলাফল অনুযায়ী নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক ৩৪৩ ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন । তিনি পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩১০ ভোট । তার নিকটতম স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট পেয়েছেন। এছাড়া নিজামউদ্দিন কায়সার পেয়েছেন ২৯ হাজার ১১ ভোট।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন (কুসিক) নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সার্বিক দিক বিবেচনায় বলা যায়, কুমিল্লা সিটিতে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। ভোটারদের কাছ থেকেও তেমন কোনো অভিযোগ আসেনি।
এ সিটিতে (কুমিল্লা) প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে। খুব বিরূপ মন্তব্যও পাওয়া যায়নি বলে জানান সিইসি।
এর আগে উৎসবমুখর পরিবেশে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। গণনা শেষে রাতের মধ্যেই জানা যাবে কে হচ্ছেন কুমিল্লা সিটির পরবর্তী নগর পিতা।
গত ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব গ্রহণের পর বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে এটাই প্রথম নির্বাচন। কুমিল্লা সিটির পাশাপাশি বুধবার দেশের আরও বেশ কয়েকটি পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
এবারের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অপেক্ষাকৃত শান্তিপূর্ণ ও নিরুত্তাপ ছিল। ভোটগ্রহণ চলাকালে কোথাও বড় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। ভোটগ্রহণে ধীরগতি ছাড়াও ইভিএম নিয়ে কিছু অভিযোগ ছিল প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের। তবে বড়ধরনের কোনো অভিযোগ ওঠেনি।
কুমিল্লা সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোটারদের আগ্রহ ছিল দেখার মতো। বৃষ্টি বাধা উপেক্ষা করেই সকাল থেকেই লাইনে দাঁড়ান তারা। ইভিএমে ভোট দিয়ে অনেকে সন্তুোষ প্রকাশ করেন।
কুমিল্লা সিটির নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচজন অংশ নিলেও আলোচনায় আছেন তিনজন। আলোচিত তিন প্রার্থীই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। ভোটের পরিবেশ নিয়েও বড় কোনো অভিযোগ কেউ করেননি কেউ।
কুমিল্লা সিটিতে ২৭টি ওয়ার্ডে ভোটার রয়েছে ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। এদের মধ্যে ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন নারী এবং ১ লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন পুরুষ। ট্রান্সজেন্ডার ভোটার রয়েছেন দুজন।
দুটি পৌরসভাকে একীভূত করে ২০১১ সালে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন গঠন করে সরকার। এরপর ২০১২ ও ২০১৭ সালে দুবার নির্বাচন হয়। দুটি নির্বাচনেই জয় পান মনিরুল হক সাক্কু। এবারও তিনি প্রার্থী হয়েছেন, তবে দল ভোট বর্জন করায় তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াই করছেন।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- jagobulletinbd@gmail.com