ঢাকারবিবার , ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  1. অপরাধ
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আবহাওয়া
  4. কর্পোরেট বুলেটিন
  5. কৃষি সংবাদ
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জেলা সংবাদ
  11. ঢাকা বিভাগ
  12. ধর্ম ও জীবন
  13. নাগরিক সংবাদ
  14. পদ্মাসেতু
  15. পাঁচমিশালি
আজকের সর্বশেষ সব খবর

“কবি সুফিয়া কামাল রচিত সাহিত্যকর্ম নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে”

জাগো বুলেটিন
জুন ১৯, ২০২২ ৬:৩৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ বলেছেন, কবি সুফিয়া কামাল রচিত সাহিত্যকর্ম নতুন ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গভীর দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করবে। কবির জীবন ও আদর্শ এবং তাঁর কালোত্তীর্ণ সাহিত্যকর্ম নতুন প্রজন্মের প্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে।
রাষ্ট্রপতি আগামীকাল ২০ জুন কবি সুফিয়া কামালের ১১১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দেয়া এক বাণীতে বলেন, “নারী জাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ কবি সুফিয়া কামালের ১১১তম জন্মবার্ষিকীতে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। সুফিয়া কামালের জন্ম ১৯১১ সালের ২০ জুন বরিশালের শায়েস্তাবাদের এক অভিজাত পরিবারে। তৎকালে বাঙালি মুসলমান নারীদের লেখাপড়ার সুযোগ একেবারে সীমিত থাকলেও তিনি নিজ চেষ্টায় লেখাপড়া শেখেন এবং ছোটোবেলা থেকেই কবিতাচর্চা শুরু করেন।”
তিনি বলেন, সুললিত ভাষা ও ব্যঞ্জনাময় ছন্দে কবি সুফিয়া কামালের কবিতায় ফুটে উঠত সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখের পাশাপাশি সমাজের সার্বিক চিত্র। নারী জাগরণের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়ার সাথে সুফিয়া কামালের সাক্ষাৎ ঘটে ১৯১৮ সালে কলকাতায়। বেগম রোকেয়া ছিলেন তাঁর অনুপ্রেরণার উৎস। কবির প্রথম কবিতা ‘বাসন্তী’ প্রকাশিত হয় সওগাত পত্রিকায় ১৯২৬ সালে। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘সাঁঝের মায়া’ ১৯৩৮ সালে প্রকাশিত হলে রবীন্দ্রনাথ এ কাব্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এ কাব্যের ভূমিকা লিখেন কাজী নজরুল ইসলাম। সুফিয়া কামাল সুদীর্ঘকাল ধরে সাহিত্যচর্চা, সমাজসেবা ও নারী কল্যাণমূলক নানা কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন।
মো: আবদুল হামিদ বলেন, কবি সুফিয়া কামাল ছিলেন বাংলাদেশের নারী সমাজের এক ও অনুকরণীয় উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব। তিনি নারী সমাজকে কুসংস্কার আর অবরোধের বেড়াজাল থেকে মুক্ত করতে আমৃত্যু সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। দেশের সকল প্রগতিশীল আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, নারীদের সংগঠিত করে মানবতা, অসাম্প্রদায়িকতা, দেশাত্মবোধ ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে কবি সুফিয়া কামাল ছিলেন পথিকৃৎ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নারী-পুরুষের সমতাপূর্ণ একটি মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠাই ছিল সুফিয়া কামালের জীবনব্যাপী সংগ্রামের প্রধান লক্ষ্য।
তিনি এ মহীয়সী নারীর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- news.jagobulletin@gmail.com