কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান বাক্সে এবার রেকর্ড পরিমাণ টাকা পাওয়া যায়। দিনভর প্রায় ১০ ঘন্টা সময় গণনার পর ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৮২ টাকা পাওয়া গেছে। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন দেশের বৈদেশিক মুদ্রা, স্বর্ণ ও রৌপ্য। এর আগে শনিবার (১ অক্টোবর) মসজিদের ৮ টি দান বাক্স খোলা হয়। এতে ১৫ বস্তার উপরে টাকা হয়। এবার তিন মাস ১ দিন পর দান বাক্স গুলো খোলা হয়েছে। এই কাজে মাদ্রাসার ১১২ জন ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ জন স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জন সদস্য অংশ নেন।
এর আগে সর্বশেষ গত ২ জুলাই দান বাক্স গুলো খোলা হয়েছিল। তখন ৩ মাস ২০ দিনে এই দান বাক্স গুলো জমা পড়েছিল ১৬ বস্তা টাকা। সেই বস্তাগুলো মসজিদের দ্বিতীয় তলার মেঝেতে ঢেলে দিনভর গণনা শেষে ১৬টি বস্তায় পাওয়া গেছে ৩ কোটি ৬০ লাখ ২৭ হাজার ৪১৫ টাকা। এ ছাড়া জমা পড়েছিল বৈদেশিক মুদ্রা, সোনা ও রুপা। এছাড়াও মসজিদে নিয়মিত হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অসংখ্য মানুষ।
মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান জানান, প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অন্য ধর্মের মানুষ এসে দান করছে এই মসজিদে। যারা দান করতে আসেন তারা বলে থাকেন, এখানে দান করার পরে নাকি তাদের আশা পূরণ হয়েছে। আর এ বিষয়টির কারণেই এখানে দান করে থাকেন তারা।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম জানান, এই মসজিদের টাকা তেমন একটা খরচ হয়না। সামান্য কিছু ব্যয় হয় ঈমাম, মুয়াজ্জিনের বেতন, বিদ্যুৎ বিল, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের করোনা ইউনিটের স্বেচ্ছাসেবকদেরকে সহায়তা প্রদান করা, আর ছোটখাট মেরামতের জন্য। বাকি টাকা ব্যাংকে অক্ষত রয়েছে।
দানবাক্স খোলা দেখতে বিভিন্ন এলাকা হতে উৎসুক মানুষজন ভিড় করেছে মসজিদ কমপ্লেক্স এর বাহিরে। যদিও দানবাক্স খোলা এবং গণনার জায়গাটিতে সর্বসাধারণের প্রবেশ নিষেধ করেছে প্রশাসন।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- jagobulletinbd@gmail.com