রাফায়েত তমাল, নড়াইল: নড়াইল সদর পৌরসভার মহিষখোলা গ্রামে প্রায় আটচল্লিশ বছর পাশাপাশি অবস্থান মসজিদ মন্দিরের।নিয়মিত চলছে মসজিদে নামাজ আদায় ও মন্দিরে পূজা অর্চনা। এভাবে যুগে যুগ ধরে চলছে পাশাপাশি দুইটা ধর্মের উপশনালয়। কারো কোন সমস্যা নাই বরং হিন্দু মুসলিম পরস্পর সহযোগিতা করে আসছেন।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে পাশাপাশি মসজির মন্দিরে সকলে যায় যার ধর্ম পালন করে আসছে সম্প্রীতির সাথে। কারো ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে কেউ দেইনা বাধা। মুসলমানদের নামাজের সময় হলে মন্দরের সকল বাদ্যযন্ত্র ঢাক-ঢোল বন্ধ থাকে। এত বছরেওঅপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি। এভাবে আগামী দিনগুলোতে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ থেকে বসবাস করতে চায় তারা।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা হারুন আর রশিদ বলেন, বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ একটি দেশ। নড়াইলের জনগণও ধর্ম বর্ণের ভেদাভেদ ভুলে মিলেমিশে বসবাস করছে এবং সকলের ধর্মীয় উৎসব সকলে আনন্দের সাথে উপভোগ করে।
এছাড়াও একই এলাকার সুকান্ত রায় বলেন, তাদের নামাজ আর আমাদের পূজার নাচ গানে কোন সমস্যা হচ্ছে না,বরং মুসলমানেরা আমাদের উপর কেউ ঝামেলা করতে আসলে তা প্রতিহত করে। আমরা যুগ যুগ ধরে একসাথেই চলছি।
উক্ত মসজিদের ইমাম হাফেজ মো: এনামুল হক বলেন,আমি প্রায় ১০ বছর এই মসজিদে ইমামতি করছি। কখনো কোন সমস্যা হয় না। তারা নামাজের সময় বাদ্যযন্ত্র বন্ধ রাখে, নামাজ শেষ হওয়ার পর তারা তাদের কাজ করে।
মহিশখোলা পূজা মন্দিরের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রলয় ভৌমিক বলেন, দীর্ঘ প্রায় ৪৮ বছর পাশাপাশি অবস্থান করছে মসজিদ মন্দির। আমাদেরকে নামাজের সময়সূচি দেয়া হয়েছে সে সময় আমরা সকল কাজ বন্ধ রাখি এবং সম্প্রতির সাথে আমরা ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে যাচ্ছি। এই সাম্প্রতিক বন্ধন যুগ যুগ থাকুক আমরা সেটাই চাই।
পুলিশ সুপার সাদিরা খাতুন বলেন, সম্প্রতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত নড়াইল। কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য প্রত্যেক মন্দিরে পুলিশ সদস্যরা নিয়মিত অবস্থান করছে।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- jagobulletinbd@gmail.com