ময়মনসিংহ শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. গাজী হাসান কামাল বলেছেন, একুশ আমাদের স্বাধীনতা ও বাঙ্গালী সংস্কৃতির অনুপ্রেরণা তাই একুশের চেতনায় তরুণ প্রজন্মকে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আমাদের মহান স্বাধীনতার উন্মেষ ঘটেছিল। তিনি আরো বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি সুকুমার বৃত্তির চর্চার বিকাশে শিশু-কিশোরদের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত হতে হবে। তিনি বলেন উন্নত বিশ্বের আদলে আমাদের ভবিষ্যৎ শিক্ষা কার্যক্রমে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সংগীত শিক্ষাকে পাঠ্যসূচীতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ সংগীত বিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর গাজী হাসান কামাল এসব কথা বলেন।
ময়মনসিংহ সংগীত বিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক নাট্য ব্যাক্তিত্ব শাহাদাত হোসেন খান হিলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ্ কামাল আকন্দ (পিপিএম)। তিনি বলেন, বর্তমান সামাজিক অবক্ষয়ের প্রেক্ষাপটে লেখাপড়ার পাশাপাশি সুকুমার বৃত্তি চর্চার বিকাশে শিশু-কিশোরদের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করতে হবে। শিশুদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে অভিভাবকদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে শাহাদাত হোসেন খান হিলু বলেন, নানা প্রতিকূলতার মাঝেও শুদ্ধ সংগীতের প্রসারে বিগত চারদশকের উপরে সংগীত বিদ্যালয় অসংখ্য শিল্পী সৃষ্টি করে আমাদের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে সমৃদ্ধ করেছে তাই ঐতিহ্যবাহী এই বিদ্যালয়ে একটি সংগীতময় পরিবেশ গড়ে তুলতে তিনি উপস্থিত শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সহযোগিতা কামনা করেন।
বিশিষ্ট শিল্পী অধ্যাপক শাফায়েত জামিলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ সংগীত বিদ্যালয়ের পরিচালক সিনিয়র সাংবাদিক নজীব আশরাফ।
আলোচনা শেষে সংগীত বিদ্যালয়ের শাস্ত্রীয় সংগীত বিভাগের প্রধান ওস্তাদ বিজন তোপদারের পরিচালনায় সংগীত পরিবেশন করে শাফায়েত জামিল সাজু, গুলেনূর আলম মারিয়া, প্রজ্ঞা পারিজাত দাস, লাবণ্য রায়, রোদসী পাল, জাকারিয়া নাবিল, আনুস্কা চক্রবর্তী দিয়া, সিঁথি দত্ত, দেবশ্রী চন্দ, গীতাঞ্জলী ঘোষ স্নেহা, স্নিগ্ধা পাল, সুপ্রতিভ দাস, রুঙ্কিনী পাল অর্চা, শ্রুতিকণা দত্ত, রিমঝিম কর্মকার, রুহান রাজ দেবনাথ, আঁচল রায়, সমৃদ্ধ রায়, মাহ্জাবিন নাশিত। আবৃত্তি পরিবেশন করেন নুজহাত জান্নাত ইবরাত ও নাফিসা জান্নাত ইম্মিতা।
সবশেষে সংগীত বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ প্রখ্যাত বংশীবাদক ওস্তাদ শাহাব উদ্দিন খানের বাঁশী বাদনে অনুষ্ঠানে ভিন্ন মাত্রা যোগ হয়। তাকে সহযোগিতা করেন বাঁশীর শিক্ষার্থী স্নিগ্ধা ধর,আকাশ ও বেহালায় রিপন পাল। তালযন্ত্রে সহযোগিতা করেন বিশিষ্ট তবলা বাদক সঞ্জিত কুমার ঘোষ ঝুটন, প্রিন্স বাবু ও প্লাবন চক্রবর্তী । অনুষ্ঠানে শিক্ষক শিক্ষার্থী ছাড়াও ময়মনসিংহ সিটি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মতিউল আলমসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- jagobulletinbd@gmail.com