ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  1. অপরাধ
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আবহাওয়া
  4. কর্পোরেট বুলেটিন
  5. কৃষি সংবাদ
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জেলা সংবাদ
  11. ঢাকা বিভাগ
  12. ধর্ম ও জীবন
  13. নাগরিক সংবাদ
  14. পদ্মাসেতু
  15. পাঁচমিশালি
আজকের সর্বশেষ সব খবর

আজ জাতীয় চা দিবস

জাগো বুলেটিন
জুন ৪, ২০২২ ১২:৪৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

জাতীয় চা দিবস আজ। চা বোর্ডের উদ্যোগে দেশে দ্বিতীয়বারের মতো এই দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এবারের চা দিবসের প্রতিপাদ্য, ‘চা দিবসের সংকল্প, সমৃদ্ধ চা শিল্প’।

চা নিয়ে বিশ্বব্যাপী আরেকটি দিবসও উদযাপন করা হয়। সেটির নাম ‘আন্তর্জাতিক চা দিবস’। এটি ২১ মে পালন করা হয়। যদিও প্রথমে ১৫ ডিসেম্বর ছিল বিশ্ব চা দিবস। বিশ্বের এই দ্বিতীয় সর্বাধিক ব্যবহৃত পানীয়ের পুষ্টিগত গুরুত্বের প্রতি সচেতনতা বাড়াতে জাতিসংঘের উদ্যোগে এই দিবসটি পালিত হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশে এই দিবসটি উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে চা শিল্পে জাতির পিতার অবদান এবং চা বোর্ডে যোগদানের তারিখকে স্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যে। ১৯৫৭ সালের ৪ জুন প্রথম বাঙালি হিসাবে তৎকালীন চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসাবে যোগ দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। চা বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকাকালে এবং স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে চা শিল্পে বঙ্গবন্ধু অবদান রাখেন। তাঁর প্রত্যক্ষ দিকনির্দেশনায় ১৯৫৭ সালে শ্রীমঙ্গলে চা গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং ঢাকার মতিঝিলে চা বোর্ডের কার্যালয় স্থাপিত হয়। দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে ২০২০ সালের ২০ জুলাই মন্ত্রিসভার বৈঠকে জাতীয় চা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। গত বছর ৪ জুন প্রথম চা দিবস পালন করা হয়। প্রতিবছর এই দিবসটি উদযাপন করা হবে। দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও চা প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন কর্মসূচি আছে। বিশেষ করে চা উৎপাদনকারী অঞ্চল চট্টগ্রাম, সিলেট ও পঞ্চগড়ে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন আছে।

দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেছেন, চা বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় শিল্প হিসাবে সুপ্রতিষ্ঠিত। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নযাত্রায় চা শিল্পের অবদান বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ চা বোর্ডসহ চা শিল্পে সংশ্লিষ্ট সবার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণীতে বলেছেন, চা রপ্তানির অতীত ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে বর্তমান সরকার রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। চা উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকার বৃহদায়তন বাগানের পাশাপাশি সমতলে ক্ষুদ্রায়তন চা আবাদে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে। গত দুই দশকে দেশের উত্তরাঞ্চলে সমতলে চা আবাদে বিপ্লব ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, চা শিল্পের উন্নয়নে জাতির পিতার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা, কার্যকরী পদক্ষেপ ও বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক গৃহীত নানাবিধ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ফলে চা শিল্প আজ টেকসই এবং মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালে দেশের ১৬৭টি চা বাগান এবং ক্ষুদ্রায়তন চা বাগান থেকে রেকর্ড পরিমাণ ৯৬.৫১ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছি। আমরা চা শ্রমিক ও তাদের সন্তানদের জন্য কল্যাণ তহবিল, শিক্ষা ট্রাস্ট ও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন ভাতা ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করছি। চা বাগানের শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বাগানগুলোতে পর্যাপ্ত স্কুল ও হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- news.jagobulletin@gmail.com