ময়মনসিংহ এক জনবহুল নগরী। মানুষ একটু ছুটি বা অবসর পেলেই বিভিন্ন পার্ক বা জয়নুল উদ্যানে ঘুরতে যান প্রকৃতির সান্নিধ্য লাভের আশায়। এই কর্মব্যস্ত শহরের বিশাল বিশাল দালান-কোঠার মধ্য থেকে কিছুটা সময় খোলা আকাশের নিচে কাটানোর জন্য ছুটে যান সবুজের সমারোহ জয়নুল আবেদিন উদ্যানে।তবে তাদের জন্য সেই পার্ক বা উদ্যানগুলো এখন অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠছে। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলে-মেয়েরা সকাল থেকে শুরু করে মধ্য রাত পর্যন্ত পার্কের মধ্যে নানান অশ্লীল কাজে লিপ্ত হয়ে থাকে।
বর্তমানে ময়মনসিংহে বিনোদন কেন্দ্র পার্কগুলো শিক্ষার্থীদের আপত্তিকর মেলামেশার অন্যতম স্থানে পরিণত হয়েছে। এসব জায়গায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রকাশ্যেই বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হচ্ছে।
ময়মনসিংহের জয়নুল আবেদিন পার্ক, সার্কিট হাউস মাঠ, হিমু আড্ডা সংলগ্ন,পার্কের নিচে নদীর পাড়েসহ অন্যান্য স্পটগুলো বিনোদনের জন্য তৈরি হলেও এখানে চলে অনৈতিক কার্যকলাপ। অশ্লীল কার্যকলাপে মগ্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। তাদের কাছে যেন কিছু মনেই হচ্ছে না। এই সমস্ত অশ্লীল কাজ আমাদের সমাজের অন্তরায়। তারা এ কাজ করার জন্য একটু আড়াল ও ঝোপ বেছে নেয়। কেউ কেউ আবার প্রকাশেই একে-অপরকে চুমু খাওয়ায় মহা ব্যস্ত, একে-অপরকে ঝাপটি মেরে ধরে বসে থাকে। তাদের কাছে যেন কিছু মনেই হচ্ছে না। পাশে কেউ বসা আছে বা পাশ দিয়ে কেউ যাচ্ছে। তারা এখানে আসে শুধু অনৈতিক কাজ করার জন্য।
অন্যদিকে যারা ছুটির দিনে বা কর্মব্যস্ত যান্ত্রিকতাকে ভুলতে এক চিলটে সবুজের সান্নিধ্য লাভে প্রাণ ভরে সতেজ অক্সিজেন গ্রহণ করতে এই স্থান গুলোতে আসে কিন্তু বর্তমানে এই সমস্ত ছেলে মেয়েদের অশ্লীল কর্মকান্ড দেখে তারা আর আসছে না।
উদ্যানগুলোতে ঘুরতে যাওয়া মনিরুজ্জামান বলেন, ‘সুস্থ কোন মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে উদ্যানগুলোতে ঘোরাফেরা করার কোন অবকাশ নেই। প্রকাশ্যে জড়িয়ে ধরে চুমু খাওয়া, ঘন্টার পর ঘন্টা বুকে জড়িয়ে ধরে বসে থাকা, ছাতা মেলে সেটার আড়ালে আরো কত সূড়সূড়ি।
এ বিষয়ে জামালপুর থেকে ময়মনসিংহে ঘুরতে আসা আরিফুল ইসলাম নামে একজন বেসরকারি চাকুরীজীবি বলেন, ভাই আমার কলেজ পড়ুয়া এক মেয়ে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া এক ছেলে এবং স্ত্রীকে ময়মনসিংহে আসলাম পার্কে একটু ঘুরাঘুরি করতে কিন্তু পার্কে দিনের বেলায় যে অশ্লীলতার চলছে এতে আমি আমার পরিবারে নিয়া লজ্জায় পড়ে গেছি । আশা করি এগুলো যদি বন্ধ না হয় তাহলে৷ এ যুবক -যুবতীরা আরোও ভয়ংকরধিকে চলে যাবে।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ কামাল আকন্দ বলেন, আমরা বিভিন্ন সময় স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলে মেয়েদেরকে রেড দিয়ে আটক করে থাকি । তারপরেও এখন থেকে আমাদের কোতোয়ালি থানা পক্ষ থেকে নিয়মিত টহল বৃদ্ধি করবো।