কবিতা লিখলেই যেমন কবি হওয়া যায় না, তেমনি কবিতার ঋণও কাউকে কাউকে কবি করে তোলে। ঋদ্ধ কবিতার তেমনই এক নিমগ্ন সাধক শহিদুল ইসলাম নিরব। শব্দ ও বাক্যের খেলায় নিপুণ-গভীর দর্শনদক্ষতায় খ্যাত হয়েছেন ‘বাসন্তী কবি’ রূপে। প্রায় দেড় যুগ ধরে শব্দ-সুতোয় বুনে চলেছেন বর্তমান বিশ্বের রুগ্ন শরীর, সুন্দরের প্রেম, বিশ্ব নন্দনশৈলীর রশ্মি ও অস্তিত্বহীনতার অস্তিত্ব।
সুফি ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ কবি-হৃদয় কবিতায় বারবার নেচে ওঠেছেন পরমের বন্দনায়। রুমির মত প্রেমকে আধার করে খুঁজে পেতে চেষ্টা করেছেন স্রষ্টাকে। জ্ঞাতা ও জ্ঞেয় বস্তুর সুক্ষ্মদর্শী ফলের মাধ্যমে অসম্ভব ব্যতিক্রমধর্মী উপমায় মর্ত্যলোকের সাথে উর্ধ্বলোকের সু-সম্পর্ক শব্দে এঁকে চলেছেন তিনি। ধর্ম, দর্শন ও ঋদ্ধপ্রেম তাঁর কবিতার মূল উপাদান। যে কবিতা নিত্যনতুন শব্দ-দৃশ্যের উঁচুমার্গে পৌঁছে দেয় মানবের ভাবনাসমূহ।
তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা একডজন। এরমধ্যে কাব্যগ্রন্থ “চারুমুখী বাসন্তী” এবং গবেষণাপ্রবন্ধ “ধর্মদর্শন ও বিস্ময়ের বিজ্ঞান” গ্রন্থদু’টির মাধ্যমে তিনি প্রশংসিত হয়েছেন। মানবপ্রেমিক এই কবি দর্শন, ইংরেজি সাহিত্য ও আইন-এ গ্রাজুয়েটেড। জড়িত আছেন শিক্ষকতা ও সাংবাদিকতায়।
শহিদুল ইসলাম নিরব ১৯৮৮ সালের ২৫ মার্চ যমুনা নদী বিধৌত উর্বর ভূমি সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার মনসুরনগর ইউনিয়নের কুমারিয়াবাড়ী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা আলতাফ হোসেন মার্কসবাদী কবি। মা সাজেদা বেগম গৃহিণী। মানবতাবাদী ও সুফিতাত্ত্বিক এই কবির আজ শুভ জন্মদিন। কবির প্রতি অনেক শুভেচ্ছা ও আগামীর জন্য শুভ কামনা।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- jagobulletinbd@gmail.com