ঢাকারবিবার , ২৩ মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  1. অপরাধ
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আবহাওয়া
  4. কর্পোরেট বুলেটিন
  5. কৃষি সংবাদ
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জেলা সংবাদ
  11. ঢাকা বিভাগ
  12. ধর্ম ও জীবন
  13. নাগরিক সংবাদ
  14. পদ্মাসেতু
  15. পাঁচমিশালি
আজকের সর্বশেষ সব খবর

“কল্পনা আমার অস্ত্র!”—লেখালেখির নেপথ্যে মাহমুদুল আলম দিপু

জাগো বুলেটিন
মার্চ ১, ২০২৫ ১২:৩২ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সময়ের জনপ্রিয় লেখক মাহমুদুল আলম দিপু। এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় তার লেখা উপন্যাস ‘২৯৩ মিলিয়ন ডলার এবং আমি’ প্রকাশিত হয়েছে। বইটি প্রকাশ করেছে মানচিত্র প্রকাশনী। আমেরিকা প্রবাসী তরুণ এই উদ্যোক্তা ছোটোবেলাতেই লেখালেখির প্রতি আগ্রহী হয়ে পড়েন। মামার বাসায় থাকা বুকশেলফ থেকে তিনি খুঁজে পান গল্পের জাদুকর হুমায়ূন আহমেদের লেখা ‘জোছনা ও জননীর গল্প’ বইটি। সেই থেকে তিনি বই পড়া ও লেখালেখির প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন। এ বছর তার ‘২২৯ মিলিয়ন ও আমি’ বইটি সাড়া ফেলেছে।

মানুষের মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যু কেমন হবে তা জানেন না লেখক। তবে লেখকের বন্ধুর মৃত্যু লেখককে বেশ নাড়া দিয়েছিল। তার গল্পও লেখক তুলে ধরেছেন বইটিতে।

ছোটোবেলায় যা পেতেন তাই পড়তেন লেখক। এমনকি কোনো পত্রিকা হাতে পেলেও তা মন দিয়ে পড়ে শেষ করতেন। মনোযোগী পাঠক হিসেবে নামডাক রয়েছে যার, তিনিই যখন লেখক হলেন তখন তিনি পাঠকদের অনুরোধ করেছেন তার উপন্যাসটিকে সহজভাবে নেওয়ার জন্য! পাঠকদের কাছে উপন্যাসটি ভালো লাগবে বলেও তিনি আশা করছেন।

আমরা মাহমুদুল আলম দিপুর কাছে বেশ কিছু প্রশ্ন করেছিলাম। লেখক সেসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বেশ সাবলীলভাবেই!

প্রশ্ন: প্রথমেই জানতে চাই নতুন বইটি সম্পর্কে, বইয়ের প্রেক্ষাপট, ভাবনা এবং লিখতে কতটা সময় লাগল?
উত্তর: ‘২৯৩ মিলিয়ন ডলার এবং আমি’ আমার আমেরিকান জীবন নিয়ে লেখা বই। ২০০৭ সাল থেকে আমি লেখালিখি শুরু করি। কবিতা, ছোটোগল্প ইত্যাদি। ২০১১ সালে এই বইটা লেখা শেষ হয়। এরপর বইটাকে আমি ইংরেজিতে সহজ ভাষায় অনুবাদ করি। ২০১৩ সালে বইটি আমেরিকায় প্রকাশিত হয়। জুলাইতে বইটি আমাজন ডট কমে পাওয়া যাবে।

প্রশ্ন: জীবনে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা পেয়েছেন কার থেকে?
উত্তর: মা এবং গুরু হুমায়ূন আহমেদের লেখা থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছি বেশি।

প্রশ্ন: ছোটবেলায় কী হবার স্বপ্ন দেখতেন?
উত্তর: ফিল্ম মেকার/ডিরেক্টর হওয়ার খুব ইচ্ছে ছিল। এখনো সেই শখ কিছুটা রয়ে গেছে।

প্রশ্ন: অবসরে কী করতে ভালোবাসেন?
উত্তর: বিদেশে অবসর বলতে তেমন কিছু হয় না, তবে আমি সবসময়ই নতুন কিছু শিখতে চেষ্টা করি। পড়ি, লেখি, নতুন প্রযুক্তিগত বিষয় নিয়ে জানতে চেষ্টা করি। এখন ডাটা সায়েন্স এবং এআই নিয়ে জানার চেষ্টা করছি।

প্রশ্ন: লেখালেখি নিয়ে ভবিষ্যত পরিকল্পনা কী করছেন?
উত্তর: তেমন কোনো পরিকল্পনা নেই তবে লিখতে ভালো লাগে সেইজন্য লেখি। মনের ভাবগুলো কাগজে প্রকাশ করি।

প্রশ্ন: পাঠকের সাড়া কেমন পেলেন?
উত্তর: আজকাল বই তেমন কেউ পরে না কিন্তু তারপরেও ভালো সাড়া পাই, পাচ্ছি। আপনাদের দোয়া।

প্রশ্ন: বর্তমানে আর কী নিয়ে ব্যস্ততা যাচ্ছে?
উত্তর: লিংকইট নিয়ে ব্যস্ততা যাচ্ছে। লিংকইট ব্যাপারটা এমন যে, হয় করো নয়ত ছেড়ে দাও। এটা একটা নলেজ ট্রান্সফার প্লাটফর্ম। আমি বিশ্বাস করি জ্ঞানই শক্তি। ইন্টারনেট, মোবাইল দুনিয়াকে হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে। হ্যাঁ, এটা সত্যি যে পরিশ্রম ছাড়া কোনোকিছু সম্ভব না, আর দারিদ্র‍্যই এখন আমাদের প্রধান সমস্যা। দারিদ্র্য দূর করতে এআই নিয়ে কাজ করছি।

প্রশ্ন: জীবনে কোনো এক স্মরণীয় ঘটনা নিয়ে জানতে চাই।
উত্তর: ক্লাস থ্রিতে থাকতে একটা ক্যামেরা আমার হাতে আসে। ক্যামেরাটা হয়ে পড়ে আমার প্রিয় বন্ধু। সারাক্ষণই এটা নিয়ে খেলাধুলা, মনের আনন্দে অফুরন্ত ছবি তুলে যেতাম। এ যেন এক নেশা। কল্পনা আমার জীবনের একমাত্র অস্ত্র!

প্রশ্ন: আপনার যারা শুভাকাঙ্ক্ষীরা আছেন তাদের কিছু বলুন।
উত্তর: ভাই বোন, বন্ধুবান্ধব, আমার স্ত্রী এবং আমার মেয়ে আয়াত যেন ভালো থাকে।

প্রশ্ন: আগামীতে আর কী নিয়ে কাজের পরিকল্পনা আছে?
উত্তর: একটা দারিদ্রমুক্ত সমাজ তৈরি করা এবং সমাজের উন্নতি সাধন করা।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- news.jagobulletin@gmail.com