অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপ উপলক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রস্তুতিমূলক দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিলো বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে আমিরাতকে ৩২ রানে হারায় টাইগাররা।
প্রথমে ব্যাট করে পুরো ২০ ওভার খেলে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান তোলে বাংলাদেশ। বিপরীতে পুরো ২০ ওভার খেলে ৫ উইকেট হারিয়ে আমিরাত তুলতে পারে ১৩৭ রান।
বাংলাদেশের দেয়া ১৭০ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ২৯ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে আমিরাত। এ সময় জোড়া আঘাত হানেন মোসাদ্দেক হোসেন। একটি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ ও নাসুম আহমেদ। তবে এরপর দারুণ এক জুটি গড়েন দুই আমিরাত ব্যাটার অধিনায়ক চুনদাঙ্গাপৌলি রিজওয়ান ও বাসিল হামিদ। দুজনে মিলে গড়েন ৯০ রানের জুটি। তবে রান তোলায় তারা ছিলেন বেশ ধীর। দলীয় ১১৯ রানে ব্যক্তিগত ৪২ রানে বাসিল ফিরলে ভাঙে এ জুটি। অধিনায়ক রিজওয়ান ৫১ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
বাংলাদেশের হয়ে মোসাদ্দেক ৪ ওভারে মাত্র ৮ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন। এছাড়া ইকোনমি ৬ অথবা তার নিচে রেখে ১টি করে উইকেট সংগ্রহ করেন দুই পেসার তাসকিন ও এবাদত হোসেন। তবে উইকেট নিলেও বেশ খরুচে ছিলেন নাসুম। ৪ ওভারে তিনি দেন ৩৬ রান।
এর আগে, দুবাইতে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে সাব্বির এবং মিরাজের ব্যাটে ভালো সূচনা পায় বাংলাদেশ। তবে দলীয় ২৭ রানে সাব্বির ফিরলে জুটি ভেঙে যায়। আউট হওয়ার আগে ১২ রান করেন ডানহাতি এই হার্ডহিটার। এরপর লিটনকে নিয়ে দ্রুত ৪১ রানের জুটি গড়েন মিরাজ। যেখানে বেশি আগ্রাসী ছিলেন লিটন। ২৫ রান করে পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তিনি।
চারে নামা আফিফ এদিন বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও ১০ বলে ১৮ রানের কার্যকরী এক ইনিংস উপহার দেন। দলীয় ১২২ রানের মাথায় এসে আউট হন ওপেনিংয়ে নামা মিরাজ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের মতো ফিফটি ছোঁয়ার অপেক্ষায় ছিলেন। তবে আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে ৪ রানের আক্ষেপ নিয়ে ফেরেন। আউট হওয়ার আগে ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ৪৬ রান আসে মিরাজের ব্যাট থেকে।
এরপরে মোসাদ্দেকের ২৭, ইয়াসির আলী ২১ এবং নুরুল হাসান সোহানের ১৯ রানে ভর করে ১৬৯ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাঁড় করায় টাইগাররা।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- jagobulletinbd@gmail.com